কাবাঘরের গিলাফ পরিবর্তনে প্রথমবারের মতো নারীদের অংশগ্রহণ

Estimated read time 1 min read

পবিত্র কাবাঘরে নতুন গিলাফ (কিসওয়া) পরিবর্তন করা হয়েছে। গিলাফ পরিবর্তন কার্যক্রমে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদ তত্ত্বাবধানকারী কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল নারীরা অংশগ্রহণ করেছেন। জেনারেল অথরিটির ভাষ্যমতে, এবারই প্রথম নারীরা এ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।

গত ৬ জুলাই হিজরি নববর্ষের প্রথম রাতে মক্কায় পবিত্র মসজিদুল হারাম প্রাঙ্গণে গিলাফ পরিবর্তনের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

চার ঘণ্টাব্যাপী চলমান এ কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের সাধারণ কর্তৃপক্ষ।  

মূলত ইসলামের প্রথম যুগ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে জিলহজ মাসের ৯ তারিখ আরাফাত দিবসে কাবাঘরের গিলাফ পরিবর্তনের রীতি ছিল। তবে ২০২২ সাল মোতাবেক ১৪৪৪ হিজরি থেকে কাবার গিলাফ পরিবর্তনের সময়ে পরিবর্তন আনে সৌদি সরকার। তখন থেকে হিজরি নববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে মহররমের প্রথম রাতে গিলাফ পরিবর্তন করা হয়।

সৌদি বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, মক্কার কিং আবদুল আজিজ কমপ্লেক্সে পবিত্র কাবাঘরের কালো গিলাফ প্রস্তুত করা হয়। সেখানকার বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদের তত্ত্বাবধানে ১৫৯ জন দক্ষ কারিগর নতুন গিলাফ পরিবর্তনের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা প্রথমে কাবাঘর থেকে পুরনো গিলাফ সরিয়ে নেন। এরপর নতুন গিলাফ স্থাপন করেন।

বার্তা সংস্থা আরো জানায়, গিলাফ তৈরিতে ১২০ কেজি সোনা, ১০০ কেজি রুপা ও এক হাজার কেজি রেশমের সুতা ব্যবহার করা হয়। ওই কাপড়ে পবিত্র কোরআনের আয়াত ও আল্লাহর গুণবাচক নামের ক্যালিগ্রাফি থাকে। গিলাফের সব কাজ শেষ করতে ছয় থেকে আট মাস সময় লাগে। সব মিলিয়ে এক হাজার ৩৫০ কেজি ওজন ও ১৪ মিটার উচ্চতার এই গিলাফ তৈরিতে ব্যয় হয় ২৫ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল বা সাড়ে ছয় মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই গিলাফকে বিশ্বের ব্যয়বহুল কাপড় বলে মনে করা হয়।

উল্লেখ্য, পবিত্র কাবাঘরের গিলাফে থাকা কোরআনের আয়াতের ক্যালিগ্রাফি করেন মুখতার আলম নামের এক বাংলাদেশি। তিনি গিলাফ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কিং আবদুল আজিজ কমপ্লেক্সে প্রধান ক্যালিগ্রাফার হিসেবে কাজ করছেন। ২০২১ সালে তিনি সৌদি আরবের নাগরিকত্ব লাভ করেন।

সূত্র: গালফ নিউজ

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours